বিদ্যালয়ের ভুলে ট্যাব কেনার ডবল পেমেন্ট, টাকা ফেরৎ চেয়ে বিদ্যালয়ের চাপ পড়ুয়াদের


রবিবার,৩১/০১/২০২১
1586

পশ্চিম মেদিনীপুর:– বিদ্যালয়ের ভুলে ট্যাব কেনার ডবল পেমেন্ট পেলো পড়ুয়ার। আর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা জানতে পেরেই টাকা ফেরৎ চেয়ে চাপ পড়ুয়াদের। প্রয়োজনে এডমিট কার্ড আটকে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের ধলহরা পাগলীমাতা উচ্চ বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ভোকেশনাল বিভাগের ২৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে ২২ জনের ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্যাব কেনার ডবল টাকা পেমেন্ট হয়েছে। আর সেই টাকা চাপ দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ফেরৎ চাইতেই দুর্নীতির দুর্গন্ধ দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের বক্তব্য যাদের একাউন্টে ডবল পেমেন্ট হয়েছে তারা নিজেরাই তো সরকার কে টাকা ফেরৎ দিতে পারে, তার জন্য বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কেন চাপ দেওয়া হবে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কয়েকদিন আগেই ছাত্রছাত্রীদের অনলাইন ক্লাস করার জন্য রাজ্যের দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। সেই মতো রাজ্যের প্রতিটি বিদ্যালয়ের কাছ থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক একাউন্টের ডিটেইলস চেয়ে পাঠান৷ রাজ্য সরকারের সেই নির্দেশিকা মেনে ধলহরা পাগলীমাতা উচ্চ বিদ্যালয়ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক একাউন্ট সহ নামের তালিকা পাঠান। তালিকা পাঠানোর পরই দেখা যায় ভোকেশনাল বিভাগের পড়ুয়াদের একাউন্টে ডবল পেমেন্ট হয়েছে। তাও দু একজন পড়ুয়ার নয়, একসঙ্গে একই বিদ্যালয়ের ২৪ জন ছাত্রছাত্রীর একাউন্টে ঢুকলো দু দফায় দশ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা। আর সেই টাকা নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে রেষারেষি শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ের মাস্টার মশাইদের। অভিযোগ এই টাকা ঢোকারপর থেকেই অতিরিক্ত দশ হাজার টাকা ফেরৎ দেওয়ার জন্য পড়ুয়াদের নানা ভাবে হয়রানি করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এডমিট আটকে যাবে, প্রজেক্ট এ নম্বর কেটে দেওয়া হবে। এমনকি ছাত্রছাত্রীদের পাশবুক পর্যন্ত জোর করে নিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। পড়ুতা সুরজিৎ দুয়ারী, শুভদীপ গোস্বামীরা জানাই, আমাদের একাউন্টে যে বাড়তি টাকা ঢুকেছে আমরা নিজেরাই রা সরকার কে ফেরৎ দিতে চায়। তার জন্য কেন বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের চাপ দেওয়া হবে। আর বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই চাপ দিয়ে টাকা আদায় করার বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। ছাত্রছাত্রী ও গ্রামবাসীদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দেবে না। সরাসরি শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের হাতেই তারা অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দিতে চাই।

যদিই চাপ দিয়ে এই টাকা আদায় করার কথা অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, ” এই সমস্যা টি হয়েছে বিদ্যালয়ের ইমেইল ভুল টাইপ করার কারন। বিদ্যালয়ের যিনি এই কাজ করেন তিনি ভোকেশনাল বিভাগের পড়ুয়াদের নামের তালিকা তৈরি করে তা পাঠানোর সময় বিদ্যালয়ের ইমেইলটি ভুল টাইপ করে পাঠিয়ে দেন। পরে যখন সেই ভুল নজরে আসে সংশোধন করে পুনরায় তা পাঠানো হয়। আর এতেই এই বিপত্তি ঘটছে। ইমেইলের এই সমস্যার কারনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একই নামের তালিকা দুবার চলে গেছে। যে কারণে টাকা দুবার ঢুকেছে। তবে অতিরিক্ত টাকা ফেরৎ দেওয়ার বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code:

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট