কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যগুলিকে আর নিখরচায় কোভিড ভ্যাকসিন দেবে না। এই নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজ্যগুলির মধ্যে। দেশে যখন কোভিড বৃদ্ধি পাচ্ছে তখন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে হতাশ রাজ্যগুলি। কোভিড মোকাবিলায় কেন্দ্র রাজ্যগুলির পাশে কেন সর্বতোভাবে থাকবে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাজ্যগুলিকে আর নিখরচায় কোভিড ভ্যাকসিন দেবে না কেন্দ্র। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। রাজ্য গুলির কোভিডের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়লে আগে কেন্দ্রকে জানাতে হবে এবং অর্থ পাঠাতে হবে। এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। বিভিন্ন রাজ্য কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন অথবা কার্বিভ্যাক্স কিংবা ন্যাজাল ড্রপের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। কিন্তু কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিকরা ভিডিও কনফারেন্স বৈঠকে জানিয়ে দেন, নতুন করে আর নিখরচায় করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। আগেই করোনা পরীক্ষার আরটিপিসিআর কিট কিনতে হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজ্যের থেকে যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে প্রথম ডোজ যত মানুষ নিয়েছিলেন তার থেকে অনেক কম সংখ্যক মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। আবার বুস্টার ডোজ আরো কম মানুষ নিয়েছেন। কিন্তু নতুন করে কোভিড বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন রাজ্য কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন চেয়েছে। হঠাৎ করেই বিভিন্ন রাজ্যের ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়েছে। আর সেখানেই কেন্দ্রের স্পষ্ট বার্তা, ফ্রিতে আর কোভিড ভ্যাকসিন নয়। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় কেন রাজ্যগুলির পাশে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বতোভাবে থাকবে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ রাজ্যে ১৮ বছরের প্রায় সাড়ে সাত কোটি নাগরিক করোনার প্রথম ডোজ পেয়েছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ শুরু হওয়ার সময় দেখা যায় প্রায় ৬ কোটি ৯২ লক্ষ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। বাকিদের আর খোঁজ মেলেনি অথবা ঠিকানায় পাওয়া যায়নি বা মোবাইল নম্বর বদল করেছেন।