প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন। তাদের অধিকাংশেরই নাম ছিল ভোটের ডিউটিতে। আদৌ তারা কি ভোটের ডিউটি করতে পারবেন? নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জেলা শাসকরা তাদের তালিকা তৈরি করেছেন বলে খবর। তবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে এই নিয়ে নির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা না আসায় তারা ভোটের কাজে যুক্ত হতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। ধুঁয়াশা অব্যাহত রইল মঙ্গলবারও। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রিজার্ভে আছেন বহু ভোট কর্মী। মোট ভোট কর্মীর পাশাপাশি কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ এরকম রিজার্ভ ভোট কর্মী রয়েছেন রাজ্যে। আইনগত কারণে কোন ভোট কর্মী, ভোটের কাজে না যেতে পারলে সে ক্ষেত্রে এইসব রিজার্ভে থাকা ভোট কর্মীদের ব্যবহার করা হবে।
অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে শান্তিপূর্ণ ভোট-ব্যবস্থার আয়োজন করতে আটঘাঁট বেধে আসরে নামছে কমিশন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ কমিশনের কাছে এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। প্রয়োজনে বহরমপুরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হোক , কড়া পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির। তবে নির্বাচন পিছিয়ে যাচ্ছে এমন কোন ইঙ্গিত মেলেনি কমিশনের সূত্রে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের যে নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছে তার বদল ঘটাতে চায় না কমিশন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সূত্রের খবর, তৃতীয় দফা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুর্শিদাবাদের যেসব এলাকায় বড় ধরনের অশান্তির ঘটনা ঘটেছে সেইসব এলাকায় আরও
কেন্দ্রীয় বাহিনী বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। রক্তপাতহীন নির্বাচন করাই যে কমিশনের প্রধান লক্ষ্য তা নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কমিশনের তৎপরতায় স্পষ্ট।
চাকরিহারাদের নিয়ে কাটল না ধোঁয়াশা, মুর্শিদাবাদে বাড়তে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী
বৃহস্পতিবার,২৫/০৪/২০২৪
191
Loading...
https://www.banglaexpress.in/ Ocean code: