বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দলবিরোধী কথা বলছিলেন। বিশেষ করে উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে। উত্তর কলকাতার একটি রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীপ্রার্থী তাপস রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কুনাল ঘোষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রথমে তাকে রাজ্য সম্পাদক পদ থেকে অপসারণ এবং পরে স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয়। অবশেষে বরফ গলল। শনিবার তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতা ব্রাত্য বসু ও ডেরেক ও’ব্রাইনের সঙ্গে বৈঠক হল কুনাল ঘোষের। তবে এদিনের বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে তা কোন পক্ষ জানাননি। কুনালের মুখে বৈঠক শেষে উঠে এসেছে ইঙ্গিত পূর্ণ গান, ” আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে। ” তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে বিরোধী বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমকে আক্রমণ শানাতে সিদ্ধহস্ত কুনাল। সেই কুনাল হয়ে উঠেছিলেন বিদ্রোহী। শুধু সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্যুতে নয়, দেবের বক্তব্য নিয়েও বিরোধী মত রেখেছিলেন কুনাল। কুনালের এই মন্তব্য যে দল মান্যতা দেয় না তা বুঝিয়ে দিয়েছিল। লাগাতার কিছু বিষয়ে বিরোধিতা করে যাওয়াই কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত কুনাল বৈঠকে বসলেন দলের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে। ওই বৈঠক থেকে সমাধান সূত্র বেরিয়ে এল। তবে কোন পথে সমাধান এল তা কোন পক্ষ স্পষ্ট করেননি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোন বক্তব্য রাখা হয়নি। অন্যদিকে এই বৈঠক শেষে কুনাল ঘোষ বলেন তৃণমূলে ছিলাম আছি থাকব। আর তারপরেই গানের দু’কলি শুনিয়ে দেন। একেবারেই ইঙ্গিত পূর্ণ গান। গানের মধ্য দিয়ে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। দল ব্যবস্থা নেওয়াই তবে কী এই আনন্দের খোলা হাওয়া ছিল না তার মনে! এখন যেন আনন্দের খোলা বাতাস জেগেছে তার মনে।
“আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে”- কুনাল ঘোষের গলায় কেন এই গান?
শনিবার,০৪/০৫/২০২৪
5374