বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে বললেন দিলিপ
উত্তর দিনাজপুর: সারা বাংলায় যখন বিজেপি কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ঠিক তখন শাসক দলের মদতে পুলিশকর্মীরা বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে জেলে পাঠাচ্ছে আজ উত্তরদিনাজপুর জেলায় রায়গঞ্জের চন্ডী তলায় বিজেপির বিক্ষোভ একটি সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।দিলীপ ঘোষ বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখনদিশেহারা হয়ে পড়েছেন তাই তিনি নানান জায়গায় মিথ্যা কথা বলছেন।দিলীপ ঘোষ বলেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রথ সারাবাংলা ব্যাপী বের হবার কথা ছিল যা আদালতের রায়ে আপাতত স্থগিত। তবে তিনি মনে করেন, আদালতের প্রতি তাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং আদালত আগামী দিনে এই ব্যাপারে সঠিক বিচার করবে তিনি বলেন বাংলার মানষের কথা বলার অধিকার আছে প্রতিবাদ জানানোরভাষা আছে তাই তারা মানুষের হয়ে বিজেপি পথে নামছেন সারা বাংলা জুড়ে বিজেপি কর্মীরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগামী নির্বাচনেই বুঝে যাবেন কতধানে কত চাল হয়। আর পরের বিধানসভা নির্বাচনে ওনাকে আর নবান্নে আসতে হবেনা কালিঘাটের টালিরবাড়িতে রামায়ন পাঠ করবেন তিনি।রাজ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠারদাবিতে জেলা বিজেপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিয়ে এভাবেই রাজ্য সরকারের দিকে বিক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি আরোবলেন, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে কোচবিহারের পরেই উত্তর দিনাজপুর সবচেয়ে সন্ত্রাস কবলিত জেলা। এখানে প্রশাসন বলে কিছু নেই।পুলিশ তোলা তুলছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে অবাধে গুলি বোমা চলেছে৷ এর বিরূদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিজেপির জেলা প্রেসিডেন্টকে দীর্ঘদিন জেলার বাইরে থাকতে হয়েছে। যে ধান চাষকরেনি সে টাকা পাচ্ছে আর যে ধান চাষ করছে সে সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে৷ আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সহায়ক মূল্য দিচ্ছে মোদি সরকার৷ রাজ্য সরকারের ব্যার্থতার জন্যচাষীরা টাকা পাচ্ছেনা৷ দালাল চক্রের হাতে পরে সর্বস্বান্ত চাষীরা।কন্যাশ্রীরা খুন হচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। এরাজ্যের মহিলারা সবচেয়ে অসুরক্ষিত।ব্যার্থতাকে ঢাকতেই ক্ষতিপূরণ দিয়ে মুখবন্ধ করতে চাইছে মুখ্যমন্ত্রী।দারিভিট স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা বিশয়ের শিক্ষক চেয়ে উর্দু বিশয়ের শিক্ষক পাচ্ছে৷ টেটের রেজাল্ট বেড়হচ্ছেনা। এরাজ্যে পড়াশোনা, চাকরি সবকিছুতেই টাকা দিতে হচ্ছে৷ অনাহারে আট জন সবর জাতির মানুষ মারা যাচ্ছে, আর দিদি বলছে কিছুই হয়নি৷ শুভেন্দু অধিকারিকেদারিভিটে ঢুকতে দিচ্ছেনা গ্রামবাসিরা। এরাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে বিজেপি৷আগামী নির্বাচনে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাদের যোগ্য জবার দেবে বিজেপি৷সেন্ট্রাল ফোর্সের সামনে টিএমসির লোক গন্ডগোল করতে এলে এবারে মুশকিল আছে৷ কোন লাল চোখ এবারে চলবে না৷ এদিনের সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেনএকসময়ের ডালখোলার বিজেপি নেতা হেম মন্ডল।হেম মন্ডলের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ৷ এদিনের বিক্ষোভ সভায়উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রিতেশ তিওয়ারি, বিজেপির জেলা নেতা রথিন ঘোষ, নিমাই কবিরাজ, নির্মল দাম, মাফুজা খাতুন, সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। Fastrack